স্বদেশ ডেস্ক:
রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় দুই বছরের শিশু আয়েশা মনি হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বৃহস্পতিবার পিবিআই এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাদেকুর রহমান এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে একমাত্র আসামি রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানাধীন ৫৩/১-ছ দ্বীননাথ সেন রোডের মৃত ডা. ওয়াইজ উদ্দিনের ছেলে মো. জান্নাতুল ওয়াইশ ওরফে নাহিদ (৪০)।
নথি থেকে জানা যায়, গেন্ডারিয়া থানাধীন দীননাথ সেন রোডে চারতলা বাড়ির পাশে টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকতো শিশু আয়েশা। প্রতিদিন সকালে আয়েশার মা-বাবা কাজে যেতেন। এ সময় গেন্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের সামনের গলিতে খেলে বেড়াতো শিশুটি। অন্যদিনের মতো গত ৫ জানুয়ারিও বিকেলে খেলতে বের হয় আয়েশা। সে হাবিবের রিকশা গ্যারেজের পূর্ব পাশে খেলাধুলা করছিল।
মাগরিবের নামাজের পূর্বে আসামি নাহিদ সেখান থেকে আয়শাকে বাসায় ডেকে নিয়ে ৩ তলার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত আয়েশাকে পাশের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলাটিতে আসামি নাহিদের মেয়ে বুশরা (৯) সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তার বাবা শিশু আয়শাকে বারান্দা থেকে ফেলে দিতে দেখেছে বলে উল্লেখ করেছে।
মামলাটিতে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর শিশুটিতে হত্যার অভিযোগ করা হলেও মেডিকেল প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মতামত দিয়েছেন। তবে কোন কারণে শিশুটিকে আসামি নাহিদ ৩ তলার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিয়েছিল সে বিষয়টি চার্জশিটে উঠে আসেনি।